Video: https://www.youtube.com/watch?v=OhLuuhcU1Y4
আমরা ছেলে বেলায় কচ্ছপ ও খরগোশ এর দৌড় প্রতিযোগিতা এর গল্প সবাই শুনেছি । ভিডিও তে তার প্রমান আবার দেখলাম আমরা ।
—-
আসলে ভিডিও টি শেয়ার করার উদ্দেশ্য হলো, “সফলতা কিভাবে সম্ভব?” পোস্ট টি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো, আমি এখানে আমার লাইফ থেকে নেয়া কিছু পয়েন্ট তুলে ধরবো, যদিও আমার সফলতার পথ এখনো অনেক বাকি।
—-
আমার মতে সফল হওয়ার জন্য ৮ টি জিনিস অবশ্যই থাকা উচিত ।
—————————–
১. লক্ষ্য স্থির করা
২. লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্ল্যান ফিক্স করা (প্ল্যান এ/ বি থাকতে পারে)
৩. প্ল্যান বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাওয়া (No Shortcut)
৪. ভয় / বাধা কে জয় করা (Skip Criticism & negativity)
৫. টাকা সম্পর্কে ইতিবাচক চিন্তা করুন
৬. টাইম ম্যানেজমেন্ট
৭. কন্সিস্টেন্সি (Win Obstracles)
৮. ফাইন্ড ইউর স্ট্রেংগথ অ্যান্ড ইউজ দ্যাট টু উইন দ্য রেইস।
এতক্ষন শিরোনাম শুনলেন, এখন বিস্তারিত
—-
১. লক্ষ্য স্থির করা
—————————–
আপনি যা হতে চান, যা করতে চান এটার একটা লক্ষ্য থাকতে হবে, যেটাকে আমরা বলে লং টার্ম গোল (VISION), লক্ষ্য টি কে একটা বাক্স এ বন্ধি করে ফেলুন – মানে এটা আপনার যাচিয়েভে করতে ই হবে যেকোনো মূল্যে ।
—-
২. লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্ল্যান ফিক্স করা (প্ল্যান এ/ বি থাকতে পারে)
—————————–
মার্কিন ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট তরুণদের এক জায়গায় বিনিয়োগ করতে পরামর্শ দেন না। তিনি অনেক জায়গায় বিনিয়োগের পরামর্শ দেন, যেন একটি বিনিয়োগে ব্যর্থ হলেও অন্য জায়গায় সামনে এগোনোর সুযোগ থাকে। এটিকে প্ল্যান এ/ প্ল্যান বি এর সাথে তুলনা করা যেতে পারে । আপনার লক্ষ্য একটাই থাকবে, সেটার বাস্তবায়নে একাধিক প্ল্যান থাকবে, প্ল্যান-এ কার্যকর না হলে, প্ল্যান-বি এক্সেকিউট করতে হবে ।
—-
৩. প্ল্যান বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাওয়া (No Shortcut)
—————————–
আমরা ম্যাক্সিমাম ই চিন্তা করে – এই লক্ষে আগানো সহজ, কম সময়ে, কম কষ্টে এই লক্ষে যাওয়া যাবে । আসলে লক্ষ্য অ্যাচিভমেন্ট এর সহজ কোনো রাস্তা নাই । আস্তে আস্তে আপনাকে আপনার নেয়া শর্ট টার্ম প্ল্যান গুলো বাস্তবায়ন করতে করতে লক্ষে পৌঁছাতে হবে ।
—-
৪. ভয় / বাধা কে জয় করা (Skip Criticism & negativity)
—————————–
আপনি যে বিষয়ে ভয় পান, সে বিষয়টিকে ভয় হিসেবে মনে করলে আজীবনই তা আপনার জন্য জড়তা। প্ল্যান বাস্তবায়নে অবশ্যই বাধা আসবে, নেগেটিভিটি আসবে, অনেকে হাসবে, অনেকে পিছন থেকে কথা বলবে । যখন মানুষ আপনাকে নিয়ে সমালোচনা করবে তখন ভাববেন আপনি সঠিক পথে আছেন। কারণ ম্যাক্সিমাম মানুষ – কারো ভালো দেখতে পারে না ।
—-
৫. টাকা সম্পর্কে ইতিবাচক চিন্তা করুন
—————————–
অনেকে বলে টাকা দিয়ে সুখ কিনা যায়না, বেপারটা সত্যি কারণ সুখ আপনার মনের মধ্যে । তবে টাকা দিয়ে এমন অনেক কিছু কিনা যায় যা পরবর্তী আপনার সুখের কারণ হতে পারে ।
—-
৬. টাইম ম্যানেজমেন্ট
—————————–
প্রতিদিন চিন্তা করুন আপনি আগের দিন থেকে বেশি কাজ করেছেন কিনা, প্রতি মাস এ চিন্তা করুন আগের মাস থেকে বেশি কাজ করেছেন কিনা, প্রতি বছর এ চিন্তা করুন আগের বছর থেকে বেশি কাজ করেছেন কিনা, আপনার একটু একটু অ্যাচিভমেন্ট বাড়তে বাড়তে আপনি একদিন লক্ষে পৌঁছে যাবেন ।
Elon Musk এর একটা টুইট এর সারমর্ম এটি ।
—-
৭. কন্সিস্টেন্সি (Win Obstracles)
—————————–
যে কোনো কাজ এ সাময়িক বার্থ হলে আমরা আমাদের লক্ষে পৌঁছানোর জন্য হাল ছেড়ে দেই , এই কাজ টি খুব সহজ এবং বেশিরভাগ মানুষ এটাই করে থাকে । মনে রাখবেন ব্যর্থ হওয়া মানে হতাশ হওয়া নয়, ব্যর্থ হওয়া মানে আপনি এক্সপেরিয়েন্স পেয়ে গেলেন সফল হওয়ার জন্য । আপনি যে ভুল টি করলেন সেটা আপনি ভবিষ্যতে আর করবেন না, সামনে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা আরো স্মুথ হলো ।
—-
৮. ফাইন্ড ইউর স্ট্রেংগথ অ্যান্ড ইউজ দ্যাট টু উইন দ্য রেইস।
—————————–
আসুন একদম শেষে এসে, খরগোশ ও কচ্ছপের এর গল্পের এক্সটেন্ডেড ভার্সন এ ফিরে যাই,
কচ্ছপ অনুধাবন করল, যে পথে প্রতিযোগিতা হয়েছে সেই পথে তার পক্ষে খরগোশকে হারানো সম্ভব নয়। নতুন পথ নির্বাচন করে সে খরগোশকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল। প্রতিযোগিতা আরও একবারের মতো শুরু হলো। খরগোশ তার সর্বোচ্চ গতিতে দৌড়ে কিছু দূর এগিয়ে আটকে গেল। সে দেখল সামনে এক বিশাল নদী। খরগোশ সাঁতার জানে না, তাই নদী পার হতে পারল না। কচ্ছপ নিজস্ব গতিতে এগিয়ে নদীর কাছে এসে দুর্দান্ত গতিতে সাঁতার কেটে নদী পার হয়ে প্রতিযোগিতার বিজয়ী হয়ে গেল। এদিকে খরগোশ নদী পার হতে পারল না বলে দৌড় শেষই করতে পারল না।
গল্পের এই অংশের মোরাল হলো, ‘ফাইন্ড ইউর স্ট্রেংগথ অ্যান্ড ইউজ দ্যাট টু উইন দ্য রেইস।’
—-
আজকে এই পর্যন্ত এ । অনেক কষ্ট করে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ । এই ৮ টি পয়েন্ট মাথায় রেখে কাজ করলে ইনশাল্লাহ আপনি জীবনে সফল হবেন ই ।