Personal Blog of

Minhazul Asif

Personal Blog of

Minhazul Asif

ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং ও বাংলাদেশ

ফ্রিল্যান্সিং কি

ফ্রিল্যান্সিং কি? নিজে কোনো একটি স্কিল শিখে অনলাইনে ইনকাম করার একটা চমৎকার উপায় হচ্ছে ফ্রীল্যানসিং । অনেকেই এখন নিয়মিত চাকরির পরোয়া না করে ফ্রিল্যান্সিং করছেন। নিয়মিত মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করতে পারলে বসে থাকতে হয় না।

আজকের পোস্টে আমরা জানবো ফ্রিল্যান্সিং কি এবং ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন, ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ, ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়, ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করতে পারব, কিভাবে কাজ পাব ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে এই পোস্টে জানতে পারবেন।

 

ফ্রিল্যান্সিং কি? what is freelancing ?
————————————-
ফ্রিল্যান্সিং বা মুক্ত পেশা হল এমন কোন কাজ যা আপনি কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে আপনার ইচ্ছামত করতে পারবেন (অনলাইন এ রিমোট জব হিসাবে)। তার মানে আপনাকে কোনো অফিস এ গিয়ে ৯টা – ৫টা জব করতে হচ্ছে না । ফ্রিল্যান্সিং বলতে মূলত ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করাকে বুঝায়। আপনি অনলাইনের যেসব কাজে দক্ষ, সেসব কাজ অনলাইনে করে দিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন আপনার অনলাইন কাজের দক্ষতা অনলাইনে সেল করে টাকা আয় করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে।

 

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে দরকার পরিষ্কার ধারণা :
————————————-
ফ্রিলান্সিং শুরু করতে প্রথমেই আপনার পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে ফ্রিলান্সিং কি এই বিষয়ের উপর। ফ্রিল্যান্সিং শিখে আপনি মূলত ঘরে বসে দেশের বাইরে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করবেন। আপনি অনলাইনে কাজ পাবেন আর অনলাইনেই কাজ করে জমা দিয়ে আপনার প্রাপ্য ডলার বুঝে নিবেন। সেই ডলার আপনি আপনার দেশের ব্যাঙ্ক এ উইথড্র করবেন ।

 

মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নেয়া :
————————
মার্কেটপ্লেসে আপনাকে কাজের জন্য আবেদন করতে হবে অথবা আপনাকে কাজের দক্ষতা অনুযায়ী পোর্টফোলিও/সার্ভিস সাজিয়ে রাখতে হবে।
মার্কেটপ্লেসে দুই ধরণের মানুষ থাকে। এক, যারা কাজ করবে বা স্কিল বিক্রি করবে (সেলার)। দুই, যারা আপনাকে কাজ দিবে বা যাদের কাজ আপনি করবেন(বায়ার)।

যারা আপনাকে কাজ দিবে তারা হচ্ছে আপনার ক্লায়েন্ট। মার্কেটপ্লেসে একজন ক্লায়েন্ট যখন কাজ দেয়ার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবে তখন আপনি তার সাথে কথা বলে ঠিক করে নিতে পারবেন যে কাজ টা কি এবং যে আপনার কাজের বিনিময়ে সে আপনাকে কত ডলার $ দিবে। অর্ডার কনফার্ম করার সাথে সাথে মার্কেটপ্লেসে আপনার নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার জমা হয়ে যাবে এবং আপনার কাজ কমপ্লিট হবার সাথে সাথেই আপনি ডলার পেয়ে যাবেন। এইখানে মার্কেটপ্লেস অবশ্য একটা ফী আপনার থেকে কেটে নিবে ।

 

মার্কেটপ্লেস এর বাইরে সোশ্যাল মিডিয়া / ডাইরেক্ট ক্লায়েন্ট থেকে কাজ নেয়া :
————————
ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ পেয়ে থাকে। তাছাড়া মার্কেটপ্লেসের বাইরেও বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে কাজ পেয়ে থাকে (লিঙ্কেডিন , টুইটার, ফেসবুক, পিন্টারেষ্ট, behance, ইন্সট্রাগ্রাম, রেডিট ইত্যাদি ) ।

মার্কেটপ্লেসের বাইরে ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট তৈরি করে রাখে, যেখানে আপনাকে যারা কাজ দিবে (বায়ার) তারা আপনাকে খুঁজে বের করবে। আপনার সাথে সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়া অথবা ইমেইল এর মাধ্যমে কানেক্টেড হবে এবং তারা আপনাকে কাজ দেয়ার জন্য যোগাযোগ করে।

তবে খেয়াল রাখতে হবে যেহেতু ডাইরেক্ট কন্ট্রাক্ট এ আমার কোনো guarantor নেই তাই অন্তত ৫০% পেমেন্ট কাজ শুরু করার আগে এ অ্যাডভান্স নিতে হবে । এক্ষেত্রে আমরা যেকোনো মানি ট্রান্সফার সার্ভিস, WISE-Transfer, Payoneer ব্যবহার করে ক্লায়েন্ট থেকে পেমেন্ট নিতে পারি ।

 

ভালো ফ্রীলান্সার হওয়ার জন্য চাই পর্যাপ্ত স্কিল :
——————————
ফ্রীলান্সার হিসাবে সফল হওয়ার জন্য যে কোনো এক বা একাধিক স্কিল খুব গভীরভাবে জানতে হবে । আমি নিজে ১০ বছরের ফ্রীল্যানসিং ক্যারিয়ার এ দেখেছি অনেক স্কিল অল্প অল্প না শিখে, যেকোনো একটা স্কিল অথবা একটা স্কিল এর পার্শিয়াল কোনো কাজ খুব ভালোভাবে, গভীরে শিখলে কাজ দ্রুত পাওয়া যায় এবং সাকসেস তা অনেক দিন টিকে থাকে । আপনার কাজের স্কিল ভালো থাকলো যেকোনো জায়গায় হোক আপনাকে কখনো টাকার পিছনে ছুটতে হবে না। টাকা আপনার কাছে অটোমেটিক ধরা দিবে।

 

ছাত্রজীবন ও ফ্রীল্যানসিং :
——————–
এখন ছাত্র অবস্থায় আমরা দেখছি অনেকে ফ্রীল্যানসিং এ ঝুঁকছে। এটা আমি খারাপ বলবো না । যদি পড়া শুনা ঠিক রেখে কোনো একটা স্কিল ডেভেলপ করে মার্কেটপ্লেস থেকে ইনকাম করতে পারে তাহলে মন্দ কি ?
বরং ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং খুবই ভাল একটি মাধ্যম। পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করে নিজের খরচ চালাতে পারে।

 

ফ্রীল্যানসিং ও বাংলাদেশ :
———————
স্ট্যাটিসটিক্স বলে, পার্শবর্তী দেশ ভারতের পর ফ্রীল্যানসিং এ বাংলাদেশ এর অবস্থান (ফ্রীল্যানসিং এর ইনকাম ও সংখ্যার দিক থেকে) দ্বিতীয় । ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ৬ লাখ এর উপর । তৃতীয় অবস্থানে আছে ফিলিপিন ।

বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা মূলত ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক ও UI ডিজাইন, বিভিন্ন ওয়েব CMS(ওয়ার্ডপ্রেস, শপিফাই, উইক্স), ডিজিটাল মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, লিড জেনারেশন, ডাটা এন্ট্রি , এস ই ও সেবায় পারদর্শী।

প্রতি মাস এ Codemanbd (কোডম্যান বিডি তে) আমার দেখা অনেক অনেক ছাত্র/ছাত্রী ফ্রীল্যানসিং শুরু করে তার পড়াশোনার খরচ চালাচ্ছে, অনেক কর্মজীবী মানুষ জব এর পাশাপাশি বাড়তি ইনকাম এর জন্য ফ্রীল্যানসিং শুরু করছে, অনেক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি ও বেসরকারি কর্ম-কর্তা, এমনকি ডিফেন্স people, ইঞ্জিনিয়ার ও আমার দেখা অনেক চিকিৎসক ও এখন নিজের জানা সার্ভিস ভার্চুয়ালি ডেলিভার করার জন্য ফ্রীল্যানসিং শিখছেন অথবা নতুন কোনো পছন্দের স্কিল ডেভেলপ করে পুরোদমে এ ফ্রীল্যানসিং করছেন ।

এতক্ষণ আমরা ফ্রীল্যানসিং কি এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম পরের পর্বে আমরা ফ্রীল্যানসিং এ কি কি কাজ করা যায় – এটি নিয়ে বিস্তারিত জানবো ।

 

Read More: জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং স্কিল

ফ্রীল্যানসিং সম্পর্কে আরো জানতে এই ভিডিও গুলো দেখা যেতে পারে : https://codemanbd.com/reviews/

– Minhazul Asif,
(Founder – Codemanbd & Web Battalion) & Freelance Instructor

Share on -

Related Articles

minhazul asif

আমি মিনহাজুল আসিফ,

Entrepreneur, Instructor, Web Developer, Freelancer & Cyber Sucurity Expert.

নিজের আইডিয়া গুলো সবার সাথে শেয়ার করার জন্য এই ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরী করা। আশা করি আমার ব্লগ পড়ে অনেকেই উপকৃত হবে।

ক্যাটাগরি সমূহ: